নিলন্তি ও নিলয়

49721931_342740833216159_4961016869914935296_n

সকাল ১০ টা বাজে। আমি ঘরে একটা কাজ করছিলাম। কি যে করছিলাম তা আমার মনে নেই। হঠাৎ আমার ফোনের রিং টোন বেজে উঠলো। ধুর কে আবার এই সময় কল করলো। ফোনের কাছে যেতেই দেখি নীলয়। ফোনটা ধরে,

আমি> আরে নিলয় কবে আসলি ঢাকা থেকে।

কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলো নিলয়ের কাছ থেকে।

আমি> কি হয়েছে ভাই তোর ?

নিলয়> ভাইয়া তুমি এখনই আসো আমার মনটা ভালো নাই

আমি> আচ্ছা ভাই আমি আসতাছি।

এই বলে আমি ফোনটা কেটে দিলাম। ভাবলাম নিলন্তি তো চলে গেছে ক্যানাডায় এই কারণে ওর মন খারাপ।

আমি কাপড়টা পড়ে বের হলাম ওদের বাসার দিকে। আর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ওদের সেদিনের কথা গুলো আমার মনে পড়ে গেলো। কি প্রেম ছিল ওদের।

আমার সাথে নিলয়ের পরিচয় হয় ২০১৫ এর দিকে সাতরাস্তার মোড়ে। সেই থেকে আজ অবধি আমরা ভাই ভাই। ওর প্রেমের কাহিনী শুরু হয় আগস্টের দিকে। আগস্টের এক দুপুরে আমি আর আমার একবন্ধু হাটতেছিলাম বড় মাঠের পাশ দিয়ে। হঠাৎ নিলয় ফোন দিয়ে বলল নিলয় > ভাই তুমি কই আছো। দেখা করা লাগবে। খুব জরুরী কথা আছে।

আমি > আমি এইখানে আছি। এই বলে ফোন রেখে দিলাম।

সে দেখি রিকশায় করে চলে এলো। আমাকে এসে জড়িয়ে ধরল।

নিলয়> ভাই আমি একটা মেয়েকে ভালবেসে ফেলছি। আজকে তাকে প্রপোজ করবো।

আমি > শুনে বললাম ভালো তো। আমাকে কি করতে হবে বল।

নিলয়> না ভাই কিছুই না। আমি আসলাম একটা কথা বলতে। কথাটা হল আমার এই বি বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা নাই।

আমি> বললাম ভাল লাগলে অবশ্যই করবি। এর আবার কিসের অভিজ্ঞতা লাগবে। তোর মনে যা আছে সব বলে দিবি ওকে। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

এরপর আরও কিছু কথা হল। আমার বন্ধুও তাকে কিছি পরামর্শ দিলো।

আমি>যা সময় নষ্ট করিস না।

এরপর নিলয় চলে গেলো। রাতে শুনলাম সব সুন্দর ভাবে হয়েছে।

আমি ওদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। দেখতাম তাদের ভালবাসা। খুব হাসিখুশি ছিল নিলয় আর নিলন্তী। ২০১৬ সালের দিকের কথা, এক বিকেলে নীলয় আর আমি ফরেস্ট ঘাট এলাকায় ঘুরতে ছিলাম।

নিলয়> ভাই একটা খবর আছে ?

আমি> কি বল ?

নিলয়> ভাই নিলন্তী তো ক্যানাডায় চলে যাচ্ছে।

আমি> তা তো ভাল খবর। তা কবে যাচ্ছে ?

নিলয়> এই তো দুইমাস পর। কিন্তু ভাই ও তো আমাকে ছাড়া আর আমি ওকে ছাড়া কেমন করে থাকব বলও ?

আমি > আরে ব্যাপার না। সব ঠিক হয়ে যাবে। তোর পড়ালেখা শেষ হয়ে গেলে তুইও চলে যাবি।

নিলয়> ভাই বিয়েটা কি করে ফেলবো।

আমি > আরে ধুর বোকা। এই কাজ এখন করিস না। এতে কষ্ট আরও বাড়বে ।

নিলয়> কিন্তু ওর পরিবার আমাদের এই সম্পর্কে রাজি না।

আমি> আরে শোন রাজি হয়ে যাবে একদিন দেখিস। যদি কপালে লেখা থাকে তোর সাথে নিলন্তীর বিয়ে তা হলে হবে।

তারপর দুজনে এক চায়ের দোকানে বসে চা পান করলাম আর সিগারেট টানতে টানতে অন্য কথা বলছিলাম।

আমি সত্যি ওদের জুটি দেখেছি। খুব ভাল। নিলয় আমাকে অনেক কিছুই বলত। এমন কি নিলন্তীর যাওয়ার আগের রাতে নীলয় কেঁদেছিল আমার সামনে। ও যে এত ভালবাসত নিলন্তীকে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। নামের ও একটা মিল নিলয় আর নিলন্তী।

এই সব চিন্তা করতে করতে নিলয়ের বাসায় আসলাম। এসে কলিং বেল দিতেই ওর আম্মা এসে গেট খুলে দিলো। আমাকে বলল ও ঘরে আছে। ওর আম্মার দিক তাকিয়ে বুঝলাম সেও খুব চিন্তায় আছে তার ছেলেকে নিয়ে।

ঘরে ঢোকা মাত্র নিলয় আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলো আর বলল ভাইয়া নিলন্তী আমার ভালবাসা বুঝলোনা। সব কিছু এইভাবে ধুলাই মিশে যাবে তা কল্পনা করিনি। আমি এই কথা শুনে মনে হল আমি আকাশ থেকে পড়লাম। আমি বললাম এ কি হয়েছে আগে খুলে বল। আর কান্না থামা।

নিলয়> গতকাল ওকে এয়ারপোর্টে থেকে বিদায় দেওয়ার সময় আমাকে বলল ও নাকি আমাকে কোনদিন ভালবাসিনি। এতদিন ও আমার সাথে নাটক করে গেছে। আর বলেছে তার সাথে কোন ভাবে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেছে। আর আমি তার পছন্দের না। ওর মত ছেলের সাথে থাকলে আমার দম বন্ধ হয়ে যায়। সবার সামনে আমাকে অপমান করেছে। আগে যা  যা হয়েছে সব মিথ্যা। ভাই বলো এই শুনে মাথা কি ঠিক থাকে। আমি হতাশ হয়ে পরেছি। ওর কথা শুনে। আমি ভাবতেই পারছিনা এমন করলো কেন ?

আমি হা করে ওর কথা গুলো শুনছিলাম। এরপর

আমি> কি বলিস এইগুলা ? এমন কাজ করবে আমি ভাবতেই পারিনি। শোন যা হবার হয়ে গেছে।

নিলয়> না ভাই। আমি ওর কি ক্ষতি করেছি  যে আমার সাথে এই করলো।

আমি> সেটা তো আমি জানি। তোদের প্রেম এ কোন ভুল ছিল না। আমারই মাথায় আসছে না। আর কান্না থামা। ছেলে মানুষ কাঁদে নাকি। চুপ কর। আর বাইরে চল।

আমি অনেক ভাবে ওকে থামানোর চেষ্টা করলাম।

এরপর ওকে বুঝিয়ে বাইরে নিয়ে গেলাম। ও আমার কাছে একটা আবদার করেছিল। সেটা এখনো গোপনে রেখে দিছি। সময় হলে সবাই জানতে পারবে।

ঐদিন ওর দুঃখ আর কান্না দেখে আমি নিজেই কেঁদেছিলাম। আজও মনে রেখে দিছি।

বাবার অতিথী

আজ সন্ধ্যায় আমার পুরানো কিছু ছবি দেখতে ছিলাম ল্যাপটপে বসে। হঠাৎ একটা ছবি আমাকে পুরনো কথা বেশী মন করে দিলো। অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু পাখির কথা। আমার বাবার প্রিয় পাখি।

কাহিনী শুরু হয় ২০১১ সালের মাঝামাঝি কথা। রাত ১০ টার দিকে বাবা আসলো। গেট খুলতেই দেখি বাবার হাতে পাখির খাঁচা সাথে দুইটা সাদা পাখি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এটা কি পাখি। বাবা বলল, এটা ঘুঘু পাখি। আমি বললাম ঘুঘু পাখি কি সাদা হয় নাকি। বাবা বলল এইগুলা অস্ট্রেলিয়ান পাখি। তাই এটা সাদা। আমি শুনে আর কিছু বললাম না।

প্রতিদিন বাবা ওদেরকে খেতে দিয়ে দোকানে চলে যেত। অনেক যত্ন করতো। রাতে ওরা কি সুন্দর করে ডাকতো। আমিও ওদের ডাক গুলো খুব পছন্দ করতাম।

২০১২ সালের কথা আমি ইংল্যান্ড চলে যায়। মাঝে মাঝে খোজ নিতাম পাখি গুলোর কথা। আম্মা বলতো খুব ভালোই আছে। তোর বাবার ভালো বন্ধু হয়েছে।

২০১৫ সালের শেষের দিকে আমি দেশে চলে আসি। আমি দেখতাম ওরা খুব ভাল ভাবে আছে। একটাই সমস্যা মেয়ে পাখিটা যখনই ডিম দিত আর ওমনি ভেঙ্গে ফেলতো ছেলে পাখিটা। বেজাই দুষ্টু ছিলো ওরা। আব্বা ওদের কে খুব খাতির যত্ন করতো।

২০১৬ সালের মাঝামঝি সময় মেয়ে পাখিটা অসুস্থ হয়ে পড়লো। আব্বু অনেক ঔষধ খাওয়ালো। কিন্তু কোন কাজ করলো না ঔষধে। মেয়েটা মারা গেলো। আব্বু অনেক কষ্ট পেয়েছিল। দেখতাম আব্বুকে মন খারাপ করে বসে থাকতো। আর ছেলে পাখিটা দেখতাম একা একা মন খারাপ করে বসে থাকত। কিছুই খেত না। দেখলাম সেও অসুস্থ হয়ে পড়লো। অক্টোবারের ১৪ কি ১৫ তারিখের দিকে কথা, ছেলে পাখিটা মরে গেলো। এখন শুধু ফাকা খাঁচা পড়ে আছে। পাখি নাই। আব্বুকে দেখেছিলাম কি কষ্ট পেয়েছিলো। বাবার অতিথীরা এইভাবে বিদায় নিবে আমি কখনও ভাবিনি।

আজ মনে পড়ে গেলো সেইদিনের কথা গুলো। ছবি গুলো আমার কাছে এখনো আছে। খুব খুব মনে পড়ে পাখি গুলো কে।

Collected by : Madman

বার্তা

সকালবেলা একজন আমাকে ফেসবুকে বার্তা দিল যে দয়া করে রাতে ফেসবুকে বসবা।একটা গুরুতর কথা আছে। আমি Knock না দেওয়া পর্যন্ত তুমি বসে থাকবা। আমি বললাম ঠিক আছে। আমিতো তার এই বার্তা পেয়ে খুব খুশি। সারাদিন সব কাজ কাম শেষ করে। রাত ১২ টায় বসলাম তার বার্তার অপেক্ষায়। দেখলাম সে অনলাইনে। আমি ভাবলাম এখুনি দেবে। বসে আছি বসে আছি। ফজরের আজান ও দিল তারপর ও বসে আছি। এভাবে ৫ বছর ধরে বসে আছি। হঠাৎ একদিন রাত ১২ টায় একটা বার্তা এল। সেটায় লেখা ছিল আমার একটা বাচ্চা হয়েছে। নাম রেখেছি বনি।

Collected by : Madman

এলিয়েনের শখ

petroglyph-at-Legend-Rock-near-Thermopolis-Wyo.

ইশতিয়াক ভাই সকালে চা নিয়ে বারান্দায় বসে পেপার পড়ছিলও। আমি তার সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ সে হেসে উঠলো। আমি বললাম ভাই হাসো কেন ? আর বলিস না এই দেখ কি লিখছে খবরের কাগজে।

কিছু দিন আগে লন্ডনের সানডে পেপারে একট খবর বের হয়েছিল। যে নাসা থেকে সংবাদ পেয়েছে যে এলিয়েনরা গত ৩ দিনে দুই বার পৃথিবীতে এসেছিল। তারা সম্ভবত এশিয়ার দিকে নেমেছিল।

আমি এই খবর পড়ে ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম এতে হাসির কি হল। ভাই বলল এটা সত্যি ঘটনা যে এলিয়েন এসেছিল।

আমি বললাম মানে , কি বল ? তুমি কি করে জানলে?

ভাই বলল, বস আমি আসতাছি ঘর থেকে।

এই বলে ভাই ঘরের দিকে চলে গেলো। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম তার কথায়।

এরপর ভাই একটা ছবি হাতে ঘর থেকে বের হল। আমাকে বলল এই দেখ বলে ছবিটা আমাকে দিলো। আমি ছবিটা দেখে হা হয়ে গেলাম। একি ? কবে ঘটলো এইটা। আমাকে তো জানালে না। আসলে ছবিতে ভাই আর এলিয়েন আর এলিয়েনের বউ।

এবার ভাই একটা সিগারেট ধরিয়ে বলল, সে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা।

এই তো গত শনিবার রাতে ঘরে বসে বই পড়ছিলাম। টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালানো ছিল। হঠাৎ আমাদের বাগানের ভিতর আওয়াজ হল। অনেক জোরেই। এমনিতে বাসায় সেদিন কেউ ছিল না। তা যখন শব্দটা হল তখন আমার বাড়িটা কেপে গেছিলো। আর ইলেক্ট্রিসিটি টা একটু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে আবার চলে এসেছিল। আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম। শব্দটা আমার কাছে সন্দেহ জাগলো। যে চোর আসলো না তো। এত বড় বাড়ি আমি একা। যা হবে হোক। হাতের কাছে টর্চ লাইট ছিল। ওটা নিয়ে বের হয়ে গেলাম। দেখি কি হল। বের হয়ে দেখি চারিদিকে অন্ধকার। বাগানের কাছে যেতেই দেখি একটা বড় চাকার মত মেশিন । তার চারিদিকে আলো আর আলো। আমি সাহস করে আরও এগিয়ে গেলাম। এগিয়ে যেতে দেখি সেই চাকতির দরজা খুলছে। আর কে যেন বের হয়ে আসছে। বিকট দেখতে। চোখগুলো বড় আর মাথা টা ত্রিভুজ।

দেখি সে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি টর্চ লাইট তার মুখে মারতেই সে একটু ভয় পেয়েছিল। মানে উধাও হয়ে গেলো।

আমি> কে আপনি ? আর আমার এইখানে কেন ?

এলিয়েন> আমার নাম পাঙ্কি। আমি নেপচুনের পাশের গ্রহ থেকে এসেছি। আমাদের গ্রহের নাম পেল্কাস।

আমি> আরে এ দেখি আমার ভাষাও জানে। আমি বললাম, এটা আবার কি নাম ? আর আমার ভাষা জানলেন কেমন করে ? আর আমার এইখানে কেন ?

এলিয়েন> আমি হাজারের উপর ভাষা জানি। আমি আপনার কছে একটা সাহায্য চাই এই কারণে আপনার কাছে আসা।

আমি নিজের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম আমি আবার এমন কোন মহৎ কাজ করলাম যে আমার কাছে ভিনগ্রহের আগমন।

আমি> তা কি কাজ ? সামনে আসেন।

এবার পাঙ্কি আমার সামনে আসলো।

আমি> হা বলুন কি সাহায্য করতে পারি।

পাঙ্কি> আপনি কি বিবাহিত ?

আমি> না। কেন ?

পাঙ্কি> তা হলে তো বেচে গেছেন। বিয়ে যদি করতেন তা হলে আমার কষ্ট বুঝতেন।

আমি> আরে আগে বল কি সমস্যা ? আর আমি কি বিবাহিতদের সমস্যা সমাধান নিয়ে বসে আছি।

পাঙ্কি> আরে ভাও আপনাকে আমার বিয়ের সমস্যা নিয়ে আসেনি। আমি এসেছি আমার বউয়ের শখ পূরণ করতে।

আমি> মানে। কি আবার শখ শুনি।

পাঙ্কি> আগে বলেন আপনি পারবেন কিনা আমার বউয়ের শখ পূরণ করতে। তা না হলে আমাকে ঘরে ঢুকতে দেবে না। যে পিটানি আমাকে আমার বউ দিয়েছে কি বলব আমাদের সমাজে কেউ জানতে পারলে কি লজ্জা আর বইলেন না। শেষে আমাকে একা মঙ্গলে গিয়ে বসবাস করা লাগবে।

আমি> আরে আগে বলুন কি শখ ? তারপর দেখা যাবে কি করা যাই।

পাঙ্কি> ছবি তুলে দিতে হবে। আমার বউয়ের শখ হয়েছে যে সে পৃথিবীর মানুষের কাছ থেকে ছবি তুলবে। কারণ সে তার সঙ্গিনীদের এলিয়েনবুকে চ্যালেঞ্জ করেছে যে সে ছবি আপলোড করবে যা মানুষের দ্বারা তুলা।

আমার মাথায় হাত। একি শখ। এ কোন ধরনের আজগুবি ব্যাপার।

আমি> এলিয়েনবুক কি আবার।

পাঙ্কি> আপনাদের ফেসবুকের মত। এখানে আমরা আমাদের ছবি আপলোড দি।

আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। কোথায় ভয় পাবো। সেখানে তাকে এই অসহায় অবস্থায় দেখে বেচারার উপর মায়া লাগলো।

আমি> আচ্ছা পাঙ্কি আমাকে কেন তোমার পছন্দ হল। আমার থেকে অনেক ভাল ভাল ফটোগ্রাফার আছে। তাদের অনেক ভাল জ্ঞান আছে।

পাঙ্কি> আমি অন্য জায়গায় চেষ্টা করিনি বললে ভুল হবে। আসলে আমি আমার গ্রহের সবচেয়ে ভাল মনের মানুষ হিসেবে জানে। আমি আমার মত কাউকে খুজছিলাম যার মন মানসিকতা আমার মত। আমি সব জায়গায় খোজ নিলাম। সবাই স্বার্থপর। এরপর আপনাকে দেখলাম। আমি সব জেনেই এসেছি।

আমি> ঠিক আছে। এখন আমাকে কি করতে হবে ? তোমার সাথে যেতে হবে তাই তো ?

পাঙ্কি> জী। চলেন দয়া করে। আমাকে বাচান।

আমি ক্যামেরার ব্যাগটা নিয়ে এলাম। আর জিজ্ঞাসা করলাম আমার কোন সমস্যা হবে না তো।

পাঙ্কি> আপনার কিছুই হবে না। আপনার কাজ শেষ হলে আবার এইখানে দিয়ে যাবো।

যাইহোক আমরা রওনা দিলাম। মনের ভিতর ভয় হচ্ছিলো তারপরও এক ধরনের আনন্দ লাগছিল। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে।

আমরা পৌছালাম সময় মত। গিয়ে দেখি সে বিশাল জায়গা। অনেক এলিয়েন। সব একই রকম দেখতে। বিভিন্ন কাজ করছে তারা। পাঙ্কির সিপটা গিয়ে তার বাসার ছাদের গিয়ে থামল। দেখি তার বউ দাড়িয়ে আছে। পাঙ্কি কে দেখে জড়িয়ে ধরল। সে কি প্রেম। যা বলার বাইরে। আমাকে অভিনন্দন করলো তাদের কায়দায়। কি সব জিনিস দিয়ে করলো তা বুঝলাম না। আমাকে অনেক খানিদানি খাওয়ালও। এরপর পাঙ্কি তার বউকে বলল আমার সম্পর্কে বলল।

পাঙ্কি> পি পি সি সি কে কে

পাঙ্কির বউ> পা প হ দ য

আমি কিছুই বুঝলাম না। এবার পাঙ্কি বলল ক্যামেরা বের করতে।

আমি আমার মত ছবি তুলে দিলাম। সেকি অবস্থা। ওরা খুব খুশি হল। পাঙ্কির বউ আমাকে খুব আদর করলো। এরপর পাঙ্কির বউ আমাকে একটা লকেট দিলো। আর আমার ভাষায় বলল,

পাঙ্কির বউ> ধন্যবাদ আপনাকে। এটা আপনার উপহার। আমি খুব খুশি হয়েছি। যখনই মনে পড়বে এই লকেটটা দিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

আমি> আমিও খুব খুশি আর ভাল লাগলো আপানদের সাথে থেকে। অবশ্য আপানাদের সাথে আবার দেখা হবে সেই আশা করি। আর পাঙ্কি খুব ভাল। ও আপানকে অনে ভালবাসে।

এরপর বিদায় নিয়ে পাঙ্কি আর আমি রওনা দিলাম। আমি অনেক রাতে এসে পৌঁছালাম। পাঙ্কি আমাকে বিনয়ের সাথে বিদায় দিলো। আমি আকাশের দিক তাকিয়ে ছিলাম দেখলাম নিমিষেই সে চলে গেলো। খুব ভালো লাগলো। পিছন দিয়ে আম্মার ডাকে চমকিয়ে গেলাম। আম্মা বলে এত রাতে বাগানে কি করিস ? আর কখন এলি ? আমি বললাম এই মাত্র। ভাল লাগছিলো না তাই বাগানের দিকে আসলাম।

ভাইয়ের গল্প শুনে আমি অবাক। ভাই এবার লকেট টা দেখাল। খুব সুন্দর। আমি বললাম তুমি ছবিটা ছাপাও। ভাই বলল না । এটা আমার স্রিতি। এটা আমার কাছে থাকুক।

Collected by : Madman